তেইশ নম্বর তৈলচিত্র অধ্যাপক, কবি ও ঔপন্যাসিক আলাউদ্দিন আল আজাদের প্রথম উপন্যাস। প্রথম প্রকাশ ১৯৬১ সালে। তেইশ নম্বর তৈলচিত্র বাংলা সাহিত্যের একটি উল্লেখযোগ্য সার্থক উপন্যাস।
করাচি শহরে অনুষ্ঠিত একটি আর্ট এক্সিবিশন। বিভিন্ন শিল্প সমঝদারদের পদচারণায় মুখরিত এলাকা। সেখানে সব ছবির মাঝে প্রথম স্থানে এসেছে ২৩ নম্বর এর ছবিটি। নাম তার " মাদার আর্থ " বা "বসুন্ধরা"। শিল্পী বাংলাদেশের এক তরুণ আর্টিস্ট জাহেদ। পুরোনাম জাহেদুল ইসলাম। "তেইশ নম্বর তৈলচিত্র" হচ্ছে এই ২৩ নম্বর বসুন্ধরা ছবির জন্মের পেছনের ইতিহাস। প্রকৃতদৃষ্টিতে সবার চোখে জাহেদ এই ছবির স্রষ্টা। কিন্তু জাহেদ এর নিজের কাছে এই সমীকরণ ভিন্ন।কী সেই সমীকরণ?
জাহেদ কিছুটা ব্যতিক্রম। আর্টিস্ট বলতেই আমাদের চোখে ভেসে ওঠে পরিচিত এক চিত্র। বেপরোয়া ও উগ্র জীবন যাপনে অভ্যস্ত, পরনে ছেঁড়া শার্ট, নোংরা প্যান্ট, উশকোখুসকো চুলের কোন এক মানব মূর্তি। কিন্তু জাহেদ এর ব্যতিক্রম। যেখানে তার বন্ধুমহলের মুজিব, আমেদ, রায়হান এবং মুজতবা ঠিক প্রচলিত আদর্শে দীক্ষিত, সেখানে সম্পূর্ণ আলাদা চিন্তার জাহেদ যেন একপাল লোমশ ভেড়ার মাঝে পশমহীন এক ভ্যাড়া। লেখক এর ভাষায় " শিল্পে ও জীবনবোধে যেখানে কিম্ভুতকিমাকার হওয়াটাই যুগের দাবি ", তার মাঝে জাহেদের এহেন অবয়বের পরিণতি কী? সে কি পারবে একজন যথার্থ শিল্পী হতে ?”
জাহেদ এর স্ত্রী,নাম "ছবি"। ঠিক যেন শিল্পী জাহেদ এর জীবনে এক রক্তমাংসের ছবি হচ্ছে এই "ছবি"। যে ছবিকে পাওয়ার জন্য সে সম্মুখীন হয়েছে অনেক চড়াইউৎড়াই। ছবির ভাই জামিলের মাধ্যমেই ছবির দেখা পেয়েছিলো সে। পড়েছিলো প্রেমে, হ্যাঁ যেখানে গুণীজনেরা বলেন, যে কোন শিল্পীর বড় হওয়ার পথে প্রধান অন্তরায় এই প্রেম ও মোহ,জাহেদ জড়িয়ে যায় তাতেই। তারপর ? তারপরের কাহিনী জানতে পড়ুন “তেইশ নম্বর তৈলচিত্র”
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS